করোনাভাইরাস চিকিৎসায় ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের ব্যবহার ফের বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউিএইচও)। এ ছাড়া করোনা চিকিৎসায় এইচআইভির ওষুধ লোপিনাভির/রিটোনাভিরের পরীক্ষামূলক পরীক্ষাও বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গতকাল শনিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তাদের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। সেখানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ও লোপিনাভির/রিটোনাভির প্রয়োগে মৃত্যু ঝুঁকি না কমার কথা জানিয়ে সেগুলো বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে।
ডব্লিউএইচও’র সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অন্তর্বর্তীকালীন ট্রায়ালে এই ওষুধগুলো প্রয়োগে রোগীদের মৃত্যু ঝুঁকি কমার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কোনো প্রভাব থাকলেও তা খুবই সামান্য।
করোনাভাইরাস চিকিৎসায় এখনো সুনির্দিষ্ট ওষুধ না থাকায় ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহারের কথা জানিয়েছিলেন অনেক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ। কেউ কেউ এইচআইভির ওষুধ লোপিনাভির/রিটোনাভিরও করোনা চিকিৎসায় ব্যবহার করে আসছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (এফডিএ) তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের ব্যবহারে অনেকের হৃদস্পন্দনে গুরুতর অস্বাভাবিকতা দেখা দিতে পারে। এরপর গত ২৫ মে একটি প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের ব্যবহার বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
এর এক সপ্তাহ পর গত ৪ জুন ওই সিদ্ধান্ত পাল্টে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস বলেছিলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসায় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের পরীক্ষামূলক ব্যবহারে বাধা নেই। ডব্লিউএইচওর গবেষক দল যাচাই করে দেখেছে যে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন সেবনে করোনা ঝুঁকিতে পড়ার কোনো প্রমাণ নেই।
Leave a Reply